Innovative building design
CivilTecture: স্বপ্নের নকশা, নিখুঁত নির্মাণ
স্থাপত্য ও প্রকৌশলের মিলনস্থলে, CivilTecture একটি আধুনিক ও উদ্ভাবনী Build Design Consultancy এবং Construction Firm হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে — যেখানে প্রতিটি প্রকল্প নতুন একটি গল্প বলে, সময়ের চেয়ে এগিয়ে, এবং গুণগত মানে নির্ভরযোগ্য।
আমরা কারা?
আবাসিক হোক বা বাণিজ্যিক, শিল্প ভবন হোক বা নগর উন্নয়ন — আমরা প্রতিটি প্রজেক্টে কাজ করি কাস্টমাইজড সল্যুশন, টেকসই ডিজাইন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সাথে।
আমাদের সেবা সমূহ
✅ স্থাপত্য ও স্ট্রাকচারাল ডিজাইন
চোখ ধাঁধানো ডিজাইন ও ব্যবহারিক কার্যকারিতার মিশেলে আমরা তৈরি করি সুন্দর ও স্মার্ট ভবন। থ্রিডি মডেল থেকে শুরু করে ডিটেইলড ড্রয়িং — সব কিছুই ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী।
✅ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যা আধুনিক নির্মাণ শিল্পের ভিত্তি তৈরি করে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত অবকাঠামো, পরিবহন, পানি সরবরাহ, নিকাশী, পরিবেশগত ইত্যাদি কার্যক্রমের উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বিশেষ শাখা যা বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাঠামো যেমন ভবন, সেতু, রাস্তা, বাঁধ ইত্যাদির স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজ করে।
স্ট্রাকচারাল এনালাইসিস হল সেগুলোর কাঠামোগত বিশ্লেষণ, যেখানে আমরা বিভিন্ন বাহ্যিক শক্তির (যেমন: ভূমিকম্প, বাতাসের চাপ, ভারী বস্তু) প্রভাব এবং এর ফলস্বরূপ কাঠামোর প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করি। সঠিক স্ট্রাকচারাল এনালাইসিসের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে, কাঠামোটি কতটা নিরাপদ এবং এর বিপর্যয় ঘটানোর আগে কোন ধরনের সমস্যাগুলি হতে পারে।
✅ নির্মাণ ও বাস্তবায়ন
নির্মাণ ও বাস্তবায়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের মূল ভিত্তি। এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র তাত্ত্বিক ধারণার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং প্রকৃত পরিস্থিতি ও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে কার্যকরী সমাধান প্রদান করতে সহায়ক। এখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হলো:
১. নির্মাণ পরিকল্পনা এবং ডিজাইন
নির্মাণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন একটি সুদৃঢ় পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে। প্রকল্পের ডিজাইন প্রথমেই তৈরি করা হয়, যেখানে স্থাপনার ধরন, আকার, উপকরণ এবং স্থাপত্য পরিকল্পনা করা হয়। ডিজাইন তৈরির সময় পরিবেশগত প্রভাব, স্থানীয় আইন-কানুন এবং বাজেট বিবেচনায় নেওয়া হয়।
২. উপকরণ এবং সরঞ্জাম নির্বাচন
নির্মাণের জন্য উপকরণ এবং সরঞ্জামের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক উপকরণ যেমন সিমেন্ট, ইট, লোহা, স্টিল, কংক্রিট ইত্যাদি নির্বাচন না করলে ভবিষ্যতে কাঠামোতে দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মাণ কার্যক্রমের গতি এবং কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব।
৩. ভূমি প্রস্তুতি
নির্মাণ শুরু করার আগে, জমির প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি। জমি খনন, জমি সমতল করা এবং প্রয়োজনীয় পরিমাপ গ্রহণ করা হয় যাতে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়। সঠিক ভূমি প্রস্তুতি ভবিষ্যতে ভবন বা অন্যান্য কাঠামোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
৪. নির্মাণ কার্যক্রম
নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হলে এটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন হতে থাকে:
- ভিত্তি প্রস্তুতি: সঠিক গভীরতায় মজবুত ভিত্তি স্থাপন করা।
- স্ট্রাকচারাল কাজ: সেমেন্ট কংক্রিট, ইস্পাত বা কাঠের কাঠামো স্থাপন।
- সারফেস ফিনিশিং: দেওয়াল, ছাদ, ফ্লোর এবং অন্যান্য সজ্জা তৈরি করা।
- ইলেকট্রিক্যাল ও প্লাম্বিং কাজ: জল সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, বিদ্যুৎ সংযোগ ইত্যাদি কাজ করা।
৫. বাস্তবায়ন এবং মেইনটেন্যান্স
নির্মাণ শেষে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু হয়। এতে সাধারণত সঠিক পরীক্ষণ এবং মান নিশ্চিতকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকে, যেমন নিরাপত্তা পরীক্ষা, স্ট্রাকচারাল স্ট্যাবিলিটি পরীক্ষা ইত্যাদি। এর পরে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা টিম নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্ভিসিংয়ের মাধ্যমে ভবনটির দীর্ঘস্থায়ী এবং নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করে।
৬. বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ
নির্মাণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়:
- পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়া এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক প্রভাব।
- অর্থনৈতিক সমস্যা: বাজেটের অভাব, মূল্যবৃদ্ধি, উপকরণের সংকট ইত্যাদি।
- সামগ্রিক পরিকল্পনার অদূরদর্শিতা: কখনো কখনো পরিকল্পনাটি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না।
৭. প্রযুক্তির ব্যবহার
নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন BIM (Building Information Modeling) বা অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্মাণের গতি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করছে। এর মাধ্যমে ডিজাইন, বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা ও নির্মাণের সমস্ত পর্যায় আরও সুষ্ঠু ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে।
✅ ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও স্পেস অপ্টিমাইজেশন
ইন্টেরিয়র ডিজাইন ও স্পেস অপ্টিমাইজেশন বর্তমানে আধুনিক বাসস্থান এবং অফিসের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি সুন্দর এবং কার্যকরী ইন্টেরিয়র ডিজাইন শুধু সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, বরং স্থান ব্যবস্থাপনা, আরাম, কার্যকারিতা এবং স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করে। সঠিকভাবে পরিকল্পিত স্পেস অপ্টিমাইজেশন অবশ্যই জীবনের গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে। এখানে আমরা এই দুটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১. ইন্টেরিয়র ডিজাইন
ইন্টেরিয়র ডিজাইন একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি স্পেসের আয়তন, রঙ, সাজসজ্জা, আড়াল এবং উপকরণের সমন্বয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিবেশ তৈরি করা হয়। এটি শুধুমাত্র একটি স্থানকে সুন্দর বা স্টাইলিশ করে তোলে না, বরং ব্যবহারকারীর মানসিক শান্তি, সান্ত্বনা এবং কার্যকারিতার দিকেও গুরুত্ব দেয়।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মূল উপাদানসমূহ:
- ফার্নিচার নির্বাচন: সঠিক ফার্নিচার নির্বাচন স্থানকে আধুনিক এবং কার্যকরী করে তোলে। ছোট স্থানগুলির জন্য স্লিম এবং মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার করা যায়।
- রঙের প্যালেট: রঙ মানুষের মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই রঙের সঠিক ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হালকা রঙগুলি ছোট স্থানকে প্রশস্ত ও উজ্জ্বল দেখায়, আর গা dark ় রঙগুলি একটি কমফোর্টেবল, মুডি পরিবেশ তৈরি করে।
- আলোকসজ্জা: পর্যাপ্ত আলোর ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিক আলো এবং কৃত্রিম আলো উভয়ের সঠিক মিশ্রণ ব্যবহার করলে স্থান আরও উজ্জ্বল এবং মনোমুগ্ধকর হয়।
- সাজসজ্জা এবং ভেতরের উপকরণ: দেয়াল সাজানো, কার্পেট, হোর্ডিং, আর্টওয়ার্ক, গাছপালা ইত্যাদি উপকরণ স্থানটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
২. স্পেস অপ্টিমাইজেশন
স্পেস অপ্টিমাইজেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সীমিত স্থানে সর্বাধিক সুবিধা ও কার্যকারিতা অর্জন করা হয়। বিশেষ করে শহুরে জীবন বা ছোট বাসস্থানের ক্ষেত্রে এই দিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে স্পেস অপ্টিমাইজ করলে একটি ছোট স্থানেও অধিক পরিমাণে কার্যকরী ব্যবস্থা তৈরি করা সম্ভব।
স্পেস অপ্টিমাইজেশনের কৌশলসমূহ:
- মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার ব্যবহার: যেমন স্লিপিং বেড, সোফা বেড, পুল আউট ড্রয়ার, টেবিল যেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ফাংশন একসাথে কাজ করতে পারে। এটি স্থানটিকে আরো কার্যকরী করে তোলে।
- হাঙ্গিং স্টোরেজ: দেয়ালে হ্যাঙ্গিং শেলফ বা কেবিনেট ব্যবহার করলে মেঝে বা টেবিলের জায়গা মুক্ত থাকে এবং অতিরিক্ত স্টোরেজ স্পেস পাওয়া যায়।
- স্পেস সেভিং সলিউশন: ফোল্ডিং ডোর, স্লাইডিং ডোর, বা কেবিনেটগুলি যা প্রয়োজনের সময় বের করা যায়, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় সময়ে ফোল্ড করা যায় বা হালকা ওয়াল সেগমেন্ট ব্যবহার করে স্থান অপ্টিমাইজ করা।
- আলনা এবং স্টোরেজ সংস্থাপন: বেডরুম বা হোস্টেল রুমের মতো ছোট স্থানগুলিতে আলনা বা কেবিনেটের মধ্যে বেশি স্টোরেজ স্থান তৈরি করা সম্ভব। আপনি নিচের অংশে বক্স বা ড্রয়ার রেখে অতিরিক্ত জিনিস রাখতে পারেন।
- আলোকসজ্জার কৌশল: ভালোভাবে আলো নিয়ন্ত্রণ করা স্থানকে বৃহত্তর এবং আরো আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। প্রাকৃতিক আলো ও কৃত্রিম আলোর মিশ্রণ ছোট স্থানকে উজ্জ্বল এবং প্রশস্ত দেখাতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য স্পেসের ব্যবহার: ছোট স্থানগুলিতে, প্রতিটি কোণ ব্যবহার করা উচিত, যেমন কফি টেবিলের নিচে বা সোফার নিচে ছোট স্টোরেজ ইউনিট রাখা যেতে পারে।
৩. স্পেস অপ্টিমাইজেশনের সুবিধা
- অতিরিক্ত স্থান তৈরি: সঠিকভাবে স্পেস অপ্টিমাইজ করলে ছোট জায়গাগুলিতে আরও বেশি কার্যকরী স্থান পাওয়া যায়, যা বাসস্থান বা অফিসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আরামদায়ক পরিবেশ: স্থান অপ্টিমাইজেশন বাড়ানোর ফলে, স্থানটিতে অগোছালো বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস কম থাকে, যা একটি শান্তিপূর্ণ ও আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে।
- ফাংশনালিটি বৃদ্ধি: মাল্টিফাংশনাল ফার্নিচার এবং স্পেস সেভিং টেকনিক্সের মাধ্যমে স্থানটির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যা বিশেষত অফিস বা ছোট ফ্ল্যাটে খুবই কার্যকর।
✅ প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং ও কনসাল্টেন্সি
প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং ও কনসালটেন্সি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নির্মাণ শিল্পের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা কোনও প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। এই তিনটি প্রক্রিয়া একে অপরের সাথে সম্পর্কিত এবং প্রকল্পের সফলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখানে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
১. প্ল্যানিং
প্ল্যানিং হল একটি প্রকল্পের জন্য একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করার প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমস্ত কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয় এবং সেগুলি সময়মতো কীভাবে সম্পন্ন করা হবে, তা নিশ্চিত করা হয়। সঠিক পরিকল্পনা প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্ল্যানিং-এর মূল দিকসমূহ:
- উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রকল্পের মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়, যাতে সমস্ত দল একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে পারে।
- সময়সীমা নির্ধারণ: কাজের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করা এবং সময়সীমার মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সূচী তৈরি করা।
- রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: প্রয়োজনীয় উপকরণ, যন্ত্রপাতি, এবং মানবসম্পদের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা, যাতে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রিসোর্স মজুদ থাকে।
- বাজেটিং: একটি সুস্পষ্ট বাজেট তৈরি করা, যাতে কাজের খরচ এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: প্রকল্পের সময় সম্ভাব্য ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং তা মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করা।
- কোঅর্ডিনেশন এবং কমিউনিকেশন: দলের সদস্যদের মধ্যে দক্ষ যোগাযোগ এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
২. এস্টিমেটিং (মূল্য নির্ধারণ)
এস্টিমেটিং হল একটি প্রকল্পের খরচ, সময়, শ্রম এবং উপকরণের আনুমানিক মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া। এটি প্রকল্পের শুরুতেই করা হয় এবং প্রকল্পটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে সহায়ক হয়। সঠিক এস্টিমেটিং করলে ভবিষ্যতে খরচ এবং সময়ের অপচয় কমানো যায়।
এস্টিমেটিং-এর মূল দিকসমূহ:
- ম্যাটেরিয়াল এস্টিমেটিং: প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং তাদের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়, যা প্রকল্পের কাঠামো, ডিজাইন এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে।
- লেবার এস্টিমেটিং: শ্রমিকদের জন্য প্রয়োজনীয় কাজের পরিমাণ এবং সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে শ্রমিকের দক্ষতা এবং কাজের ধরণও ধরা হয়।
- অ্যাক্সেসরি খরচ: উপকরণের খরচ, পরিবহন, লজিস্টিক, যন্ত্রপাতি ভাড়া, এবং অন্যান্য সহায়ক খরচের হিসাব করা।
- অতিরিক্ত বা অপ্রত্যাশিত খরচ: প্রকল্পের যে কোনও অবাঞ্ছিত বা অপ্রত্যাশিত খরচের জন্য একটি প্রাক্কলিত পরিমাণ রাখা হয়। এটি ভবিষ্যতে কার্যকরী হবে।
- বাজেট অনুমান: কাজের আনুমানিক ব্যয় ও সময়ের জন্য একটি সুস্পষ্ট বাজেট তৈরি করা।
৩. কনসালটেন্সি (পরামর্শ সেবা)
কনসালটেন্সি বা পরামর্শ সেবা হল একটি পেশাদারী পরামর্শের মাধ্যমে নির্মাণ প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং পরিচালনা সমর্থন করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ কনসালটেন্টদের দ্বারা প্রদান করা হয়, যারা একটি প্রকল্পের প্রতিটি স্তরে সহায়তা করে থাকে।
কনসালটেন্সির মূল দিকসমূহ:
- ডিজাইন কনসালটেন্সি: এটি একটি প্রকল্পের নকশা এবং ডিজাইন তৈরির জন্য পরামর্শ প্রদান করে। কনসালটেন্টরা প্রকল্পের প্রযুক্তিগত বিশদ, উপকরণ নির্বাচন, এবং স্থাপত্য পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শ প্রদান করেন।
- প্রকল্প পরিচালনা কনসালটেন্সি: এটি প্রকল্পটির সময়সীমা, বাজেট, এবং অন্যান্য পরিচালনামূলক দিকগুলির কার্যকরী পরিচালনা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।
- এফেক্টিভ অডিটিং এবং কোয়ালিটি কনসালটেন্সি: প্রকল্পটির অডিটিং এবং মান নিয়ন্ত্রণের জন্য পরামর্শ প্রদান করা, যা প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- আইনগত পরামর্শ: স্থানীয় আইন-কানুন, নির্মাণ বিধি, এবং পরিবেশগত আইন সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান করা। এছাড়াও, কনসালটেন্টরা সংশ্লিষ্ট অনুমোদন এবং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- ঝুঁকি পরামর্শ: প্রকল্পের ঝুঁকি চিহ্নিত করে তা কমানোর জন্য কৌশল এবং পরিকল্পনা প্রস্তুত করা।
প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং ও কনসালটেন্সির সম্পর্ক
প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং এবং কনসালটেন্সি একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। প্ল্যানিং হল প্রকল্পের রূপরেখা তৈরি করা, যেখানে এস্টিমেটিং এর মাধ্যমে প্রকল্পটির বাজেট ও খরচ নির্ধারণ করা হয়, এবং কনসালটেন্সি এই সমস্ত প্রক্রিয়ায় পেশাদার সহায়তা প্রদান করে, যাতে প্রকল্পটি সময়মতো এবং নির্ধারিত বাজেটে সম্পন্ন হয়।
উপসংহার:
একটি নির্মাণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য প্ল্যানিং, এস্টিমেটিং এবং কনসালটেন্সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা, বাজেট অনুমান এবং পেশাদার পরামর্শের মাধ্যমে প্রকল্পটির গুণগত মান এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়। এই প্রক্রিয়া গুলির সমন্বয়ে একটি সুদৃঢ় এবং সফল প্রকল্প তৈরি করা সম্ভব।
আমাদের মূলনীতি
- 🎯 উদ্ভাবন – আমরা ব্যবহার করি আধুনিক ডিজিটাল টুল ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি
- 🏗️ গুণমান – প্রতিটি কাজেই থাকে নিখুঁত ফিনিশিং ও স্ট্যান্ডার্ড মান
- 🤝 আস্থা ও স্বচ্ছতা – প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও ক্লায়েন্টের সাথে খোলামেলা সম্পর্ক
- 👥 ক্লায়েন্ট ফোকাসড অ্যাপ্রোচ – ক্লায়েন্টের চাহিদাই আমাদের ডিজাইনের মূলে
কেন CivilTecture?
- অভিজ্ঞ প্রকৌশলী ও স্থপতিদের টিম
- ডিজাইন থেকে নির্মাণ — সব কিছু এক জায়গায়
- কাস্টমাইজড, বাজেট-বান্ধব সল্যুশন
- সময়মতো ডেলিভারি এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল
- BNBC ও RAJUK রেগুলেশন অনুসরণ করে কাজ
চলুন গড়ে তুলি স্বপ্নের কাঠামো
আপনি যদি বাড়ি নির্মাণ, অফিস ডিজাইন বা কনস্ট্রাকশন কনসাল্টেন্সি খুঁজে থাকেন — CivilTecture সব সময় প্রস্তুত আপনার পাশে থাকার জন্য।
যোগাযোগ করুন
📞 +৮৮০১৭৭৭৬৩৮৪২৬; +৮৮০১৮৭০১১২১৬১
🌐 www.civiltecture.com
📧 asif.ce2k8@gmail.com ,
📍 সি এস রোড #০২, সার্কিট হাউজ লেন, ধাপ, রংপুর
CivilTecture — যেখানে স্বপ্নের সাথে মিলে যায় নির্মাণের বাস্তবতা।