ভবন নির্মাণের পূর্বে সাইট প্রস্তুতির কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি নিশ্চিত করে যে জমি নির্মাণের উপযুক্ত, নিরাপদ এবং কাঠামো তৈরির জন্য প্রস্তুত। এই প্রক্রিয়ায় কিছু ধাপ রয়েছে, যা সঠিকভাবে অনুসরণ না করলে ভবিষ্যতে কাঠামোগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।


১. সাইট পরিষ্কারকরণ (Site Clearing)
এই ধাপে গাছ, ঝোপঝাড়, শিকড়, পাথর এবং অন্যান্য জৈব উপাদান অপসারণ করা হয়। যদি সেখানে পুরনো কোনো কাঠামো থাকে, তা ভেঙে ফেলতে হয়। পরিষ্কার জমি নির্মাণ কাজের জন্য সহজ প্রবেশাধিকার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
মূল কাজসমূহ:
- গাছপালা কাটা ও সরানো
- পুরনো ভবন ধ্বংস করা (যদি থাকে)
- উর্বর টপসয়েল ও জৈব উপাদান সরানো
খনন কাজ (Site Excavation)
ডিজাইন অনুযায়ী নির্ধারিত গভীরতায় মাটি খনন করা হয় যাতে ফাউন্ডেশনের জন্য প্রয়োজনীয় স্তর পাওয়া যায়। এ ধাপটি আর্কিটেকচারাল এবং স্ট্রাকচারাল ডিজাইনের ভিত্তিতে করা হয়।
মূল কাজসমূহ:
- ভিত্তির জন্য খাঁজ খনন
- অনুপযুক্ত মাটি অপসারণ
- নির্ধারিত ঢাল ও গভীরতা বজায় রাখা
গ্রেডিং বা সমতলকরণ (Grading)
গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে জমিকে লেভেল বা ঢাল দেওয়া হয় যাতে পানি সঠিকভাবে নিঃসরণ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে জলাবদ্ধতার সমস্যা না হয়। এটি ডিজাইন অনুযায়ী সাইটকে প্রস্তুত করে।
মূল কাজসমূহ:
- ভূমির ঢাল এবং স্তর তৈরি করা
- ভূ-আকৃতি গঠন
- পানি নিষ্কাশনের দিক নিশ্চিত করা
কম্প্যাকশন বা ঘনকরণ (Compaction)
ঢিলা মাটিকে শক্ত করে ঘনকরণ করা হয় যাতে তার বেয়ারিং ক্ষমতা বাড়ে এবং ভবিষ্যতে মাটির বসে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে। এর জন্য রোলার ও কম্প্যাক্টর যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
মূল কাজসমূহ:
- স্তরে স্তরে মাটি ঘনকরণ
- মাটির ঘনত্ব পরীক্ষণ (Proctor Test)
- নির্ধারিত ঘনত্ব অর্জন নিশ্চিত করা
সঠিকভাবে সাইট প্রস্তুতি ভবনের নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। এটি ঝুঁকি কমায়, নির্মাণ মানদণ্ড পূরণ করে এবং ভবিষ্যতের কাঠামোগত সমস্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। যেমন বাংলাদেশের জন্য BNBC 2020 অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশাদারদের মাধ্যমে কাজ করানো এবং নিয়ম অনুসরণ করলেই সফল নির্মাণ সম্ভব।
সবকিছু জানার পরও আমরা এসবের ধার ধারি না যা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
এজন্য আমাদের সবাইকে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা দরকার।
ইনশাআল্লাহ্ আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।